বধিরতা

শ্রবণক্ষমতা কম কিভাবে বুঝবেন

বধিরতা রবিবার, ১৪ জুন ২০২০ ০১:১৪:১৫

শ্রবণক্ষমতা কম বা বেশী- যাই হোক এর একটি প্রভাব সকল শিশুর মধ্যেই পরে। বিশেষ করে জীবনের একদম প্রারম্ভিক বছরগুলোতে যখন সে কথা বলার এবং ভাষার দক্ষতা গড়ে তুলতে শুরু করে। শ্রবণক্ষমতা কাম, এটি কিভাবে বুঝবেন? এর সাধারণ লক্ষণসমূহ নিম্নে দেয়া হলো।

শ্রবণক্ষমতা হ্রাসের সাধারণ লক্ষণসমুহ নিম্নে দেয়া হলো – একটি শিশু
•    ডাকলে জবাব না দিলে অর্থাৎ রেসপন্ড না করলে
•    বিরামহীনভাবে “কী” “কী” করলে বা কথা বার বার রিপিট করতে বললে
•    চেহারা বা ঠোঁটের দিকে নিবিষ্টভাবে তাকিয়ে থাকলে
•    যে নির্দেশনা দেয়া হয় তা সরাসরি অনুসরণ না করলে
•    প্রায়ই নির্দেশনা না বুঝলে বা ইগনোর করলে
•    দলবদ্ধ কাজে বা গ্রুপ এক্টিভিটিতে ও গ্রুপ ডিসকাশনে কম অবদান রাখলে বা একদম কোন অবদান না রাখলে
•    নিজেরা কোন কাজ শুরু করার আগে অন্যেরা কি করছে দেখে নিলে
•    শুনতে পায় নাই এই অভিযোগ করলে
•    সহজেই ক্লান্ত হয়ে পড়লে
•    প্রত্যাশার চেয়ে উচ্চকণ্ঠে বা নিম্নকন্ঠে (louder or softer) কথা বললে
•    অল্পতেই হতাশাগ্রস্থ হয়ে পরলে
•    মানুষ যখন মূল কথায় আসে তখন চমকে গেছে মনে হলে
•    অমনোযোগী বা দিবাস্বপ্ন দেখছে এমন মনে হলে

মনে রাখবেন সামান্য বা হালকা শ্রবণক্ষমতা হ্রাস (mild or slight hearing loss) সনাক্ত করা কঠিন হতে পারে। শিশুদেরকে যখন একজন একজন করে শান্ত পরিবেশে প্রশ্ন করা হয় তখন হয়ত সে জবাব দেয় মানে রেসপনড করে কিন্তু তারাই যখন দূর থেকে এবং অনেকের সামনে প্রশ্ন করা হয় তখন জবাব দিতে পারে না বা রেসপনড করে না।
পাশাপাশি মনে রাখবেন, অস্থায়ী শ্রবণশক্তি হ্রাসের মাত্রা কখনও কম কখনও বেশি হতে পারে। অর্থাৎ উপরে উল্লেখিত লক্ষণগুলো কোন কোন দিন হয়ত শিশুর মধ্যে দেখা যায় আবার অন্য কোন দিন নাও দেখা যেতে পারে।

শ্রবণশক্তি হ্রাস টের পেলে কী করনীয়
যে কোন ধরণের সৃষ্ট সমস্যা পরিবারে আলোচনা করুন। এটি কোন কোন পরিবারকে উদ্বিগ্ন করতে পারে বা তারা হয়ত এটি শুনে মানসিকভাবে ধাক্কা খাবে।। এক্ষেত্রে তাদেরকে ডাক্তারের শরণাপন্ন হবার তাৎক্ষনিক পরামর্শ দেয়া যেতে পারে।

লক্ষণ ধরা পরেনি এমন শ্রবণশক্তি হ্রাসের ক্ষেত্রে শিশুর কথা বলা এবং ভাষা শেখায় দেরি হতে পারে, পড়াশোনা করতে এবং অন্যের সাথে যোগাযোগ ও সামাজিক আচরণে সমস্যা হতে পারে। এমনও হতে পারে যে অন্য ভাষার চিহ্ন বা লক্ষণগুলো নিজের ভাষার চিহ্ন বা লক্ষণকে ছাপিয়ে যেতে পারে অথবা শৈশবে ভাষা উন্নয়নে বিশৃঙ্খলা দেখা যেতে পারে।
এই জন্যই হেয়ারিং টেস্ট করানো ভাল। হেয়ারিং টেস্ট করে স্পিচ বা ল্যাঙ্গুয়েজ থেরাপিস্টের কাছে বা শিক্ষা মনোবিদের কাছে রেফার করা হয়। তিনি লক্ষণ দেখে সমস্যা নির্ণয় করবেন, অথবা ধারণাপ্রসূত অসুবিধা যেগুলো আসলে নেই সেইসব বাদ  দিয়ে পরিকল্পনা করতে অবশ্যই সাহায্য করবেন।

বাবা মা অথবা শিক্ষক হিসেবে আপনি আপনার পর্যবেক্ষনগুলো রেকর্ড করে রাখুন। শিশু কোন কোন নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে অসুবিধার সম্মুখীন হয় তা বের করার ক্ষেত্রে এটা আপনাকে সাহায্য করবে। পাশাপাশি এ ধরনের শিশুদের জন্য প্রতিষ্ঠিত স্থানীয় কোন বিশেষিয়ত প্রতিষ্ঠান শিক্ষকের শরণাপন্ন হতে পারেন। তিনি আপনাকে আরও বেশি তথ্য এবং উপদেশ এর পাশাপাশি নির্দেশনা দিয়েও সাহায্য করতে পারবেন।